খাঁচার ভেতর নানা জাতের কুকুরের খুনসুটি। শেফার্ড, ডগ আর্জেন্টিনা, তিব্বত পিটবুল, হাসকি, লেবড়াডোর, গোল্ডেন রিটিবার, সেন্ট বার্নার, হোয়াইট টেরিয়ার, রাশিয়ান সামুয়েড, পুডল, বেসন ফ্রাই ও ব্রিগল প্রজাতির বিখ্যাতসব কুকুর।
এ দৃশ্য টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার মহেড়া গ্রামের অর্ক ক্যানাল খামারের। মালিক জানান, শখের বশে বড়ভাই দিলীপ সাহা বিদেশি জাতের কুকুর পুষতে শুরু করেন। তাদের খামারে এখন বিভিন্ন প্রজাতির ছোট-বড় শতাধিক কুকুর। এগুলো গাডিং বা প্রহরী, ফ্যামিলি বা পরিবার এবং ট্রয় বা খেলনা গোত্রের। জাত ভেদে দাম ২০ হাজার থেকে আড়াই লাখ টাকা পর্যন্ত। এই খামারই এখন তাদের আয়ের উৎস হয়ে উঠেছে।
মির্জাপুর কুকুর খামারী গৌতম সাহা বলেন, “বাইরে থেকে একটা কুকুর আনলে অনেক খরচ পরে, কিভাবে কম খরচে তাদের শখ পূরণ করতে পারি- এই চিন্তাধারা থেকে বাণিজ্যিকভাবে শুরু করি।”
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর বলছে, দেশে বিভিন্ন কাজে বিদেশি কুকুরের প্রয়োজন হয়। কেউ খামার করলে সহযোগিতা দেয়ার আশ্বাস দেন এই কর্মকর্তা।
টাঙ্গাইল জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. রানা মিয়া বলেন, “যতো টেকনিক্যাল সুবিধা, সহযোগিতা, ভেকসিনেশন ও অন্যান্য যা কিছু প্রয়োজন তা আমরা দিয়ে থাকি।”
এদিকে, বিষাক্ত সাপ ও অজানা রোগে মারা যাওয়ায় রাঙামাটির বাঘাইছড়িতে গড়ে ওঠা চাকমা ক্যানেল অ্যান্ড এগ্রো ফার্মের কুকুরের সংখ্যা কমেছে। তবে স্বত্বাধিকারী দুই ভাইয়ের এখনকার পরিকল্পনা সাজেকে আরও বড় পরিসরে খামার গড়ার।
চাকমা ক্যানেল এন্ড এগ্রো ফার্ম স্বত্বাধিকারী ছোট চাকমা বলেন, “বড়ভাই চিন্তা করছে সাজেকে বড় ধরনের খামার তৈরির।”
না পোষালেও শুধু জাত টিকিয়ে রাখতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার চৌড়গুদা গ্রামের তপন লাল রবিদাস এখনও গ্রে-হাউন্ড কুকুর পালন করছেন।
তপন লাল রবিদাস বলেন, “এই গ্রে-হাউন্ড কুকুর আস্তে আস্তে বিলুপ্তের পথে। সরাইলের ঐতিহ্য কিভাবে ধরে রাখবো।”
ঐতিহ্য ধরে রাখতে সরাইলে একটি গ্রে-হাউন্ড কুকুর প্রজনন কেন্দ্র চালুর দাবিও আছে।
Leave a Reply